০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ১৩:৫৪বেমক্কা বজ্রপাতে মৃত্যু ঘটতেই পারে মানুষের, ঝড়-বৃষ্টির সময় এ জন্যই সাবধানে থাকতে হয়। কিন্তু অন্তত একজন মানুষের ক্ষেত্রে বজ্রপাত ব্যর্থ হয়েছে বললে খুব একটা ভুল বলা হবে না। একবার-দুবার নয়, পাক্কা ১১ বার বজ্রপাতের শিকার হয়েও দিব্যি হেসেখেলে বেড়াচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের মেলভিন রবার্টস নামের একজন ব্যক্তি। আর এ অবিশ্বাস্য ঘটনা উঠে এসেছে অস্ট্রেলিয়াভিত্তিক ওয়েবসাইট নিউজ ডটকমের প্রতিবেদক ডানহাম হিচককের এক প্রতিবেদনে।ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ১২ বছরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ক্যারোলাইনার মেলভিন রবার্টস ১১ বার বজ্রপাতের শিকার হয়েছেন। এসব বজ্রপাতও হয়েছে অদ্ভুত সব সময়ে। কখনো বাড়ির সামনের লনে ঘাস কাটার সময়, কখনো বা স্রেফ বাড়ির বাগানে দাঁড়িয়ে থাকার সময়। তবে এত কিছুর পরও তাঁর গায়ে সামান্য আঁচড় পর্যন্ত লাগেনি।একেকটি বজ্রপাতের সময় কয়েক বিলিয়ন হার্টজ বিদ্যুৎ প্রবাহিত হয়। শুধু তাই নয়, বজ্রপাতের উত্তাপ নাকি সূর্যপৃষ্ঠের থেকে চার গুণ বেশি হয়ে থাকে। এত কিছুর পরও অলৌকিকভাবে রবার্টস কীভাবে বেঁচে আছেন, চিকিৎসকদের কাছে সেটা এক রহস্য।অবশ্য প্রকৃতি একেবারে ছেড়ে কথা বলেনি, বজ্রপাতগুলো শুষে নিয়েছে হতভাগ্য মেলভিনের জীবনীশক্তির বেশ অনেকটা। ক্রমাগত চিকিৎসক আর হাসপাতালে ছোটাছুটি করেই কাটছে ৬২ বছর বয়সী এই বৃদ্ধের জীবন। দীর্ঘ এক বছর ধরে নিবিড় পর্যবেক্ষণের পর প্রতিবেদনটি তৈরি করেছেন ডানহাম হিচকক।হিচকক তাঁর বজ্রপাতবিষয়ক গবেষণা অবশ্য এতেই সীমাবদ্ধ রাখেননি। তিনি গিয়েছেন ভেনেজুয়েলার প্রত্যন্ত সব অঞ্চলে, যা কি না বজ্রপাতের জন্য বিখ্যাত।প্রতিবেদনে হিচকক বলেন, ‘বজ্রপাত প্রকৃতির এক অসাধারণ অংশ, তবে এর ক্ষয়ক্ষতির দিকটাও বিবেচনা করে দেখা দরকার। প্রতিবছর বজ্রপাতে বিলিয়ন ডলারের ওপর ক্ষয়ক্ষতি হয়। বনের দাবানলের প্রায় অর্ধেকই বজ্রপাতের ফল, এ ছাড়া মানুষের প্রাণহানির ঘটনা তো আছেই।’বিজ্ঞানীদের ভাষ্যমতে, এই শতাব্দীর শেষে পৃথিবীতে বজ্রপাতের পরিমাণ আরো ৫০ শতাংশ বেড়ে যাবে।

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipisicing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation.
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন